বাংলাদেশের ক্যালেন্ডারের ভুলভ্রান্তি
হিন্দু ক্যালেন্ডার বঙ্গাব্দ এবং এরশাব্দ প্রসঙ্গ : হিন্দুক্যালেন্ডার, বাংলাক্যালেন্ডার ও এরশাব্দ সেই বেদ এর যুগের থেকে চন্দ্র ও সূর্য কে নিয়ে ক্যালেন্ডার তৈরী হয়েছে। পরে আর্যভট্ট (খ্রীষ্টপুর্ব ৪৯৯) বিক্রমাদিত্য রর বিক্রমসম্ভত ( খ্রীষ্টপুর্ব ৫৬) বরাহমিহির (৬ শতক) ক্যালেন্ডার সংকলিত করেন। গুপ্তবংশ এর শাসন কাল থেকেই বরাহমিহিরের সূর্যসিদ্ধান্ত কে অনুসরন করা হয় হিন্দু ক্যালেন্ডার হিসেবে। চৈত্র মাস থেকে বৎসর শুরু হয়ে শেষ হয় ফাল্গুন মাসে। এটি সংস্কৃত ভাষায় লেখা। পরবর্তি কালে গৌড় রাজ শশাঙ্ক র আমলে এই "সূর্যসিদ্ধান্ত " বাংলারুপ করে বঙ্গাব্দ প্রচলন করেন। এই "সূর্যসিদ্ধান্ত " অবলম্বনে ভারত ও ভারতীয় উপমহাদেশে নানান ভাষায় ক্যালেন্ডার তৈরী হতে থাকে। আবার "বিক্রম সম্ভত" থেকে নেপাল সহ বেশ কিছু ভারতীয় ভাষায় ক্যালেন্ডার শুরু হয়।
শোনা যায় মোঘল শাসনকালে খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্যে বৎসর শুরু হতে থাকে বৈশাখ মাস থেকে। অনুরুপ ভাবে পাঞ্জাব কানাড়া তামিল মালায়ালম তেলেগু উড়িয়া অসমিয়া সহ প্রচুর ভাষার ক্যালেন্ডারে বৎসর শুরু হতে থাকে এই বৈশাখ মাস থেকেই। সামন্য উচ্চারন গত ভিন্নতা ছাড়া হুবহু সংস্কৃত মাস ও দিন গুলো সব ভাষার ক্যালেন্ডারে স্থান পায়, বাংলাতে সেই মিল উপলব্ধ। সংস্কৃত বার গুলি হলো রবিবাসর সোমবাসর মঙ্গলবাসর বুধবাসর বৃহঃস্প্রতিবাসর ( গুরুবাসর), শক্রবাসর শনিবাসর। সাধু ভাষাতে বাসর কথাটা ব্যাবহৃত হতো, চলিতভাষা য় এখন বার ব্যবহার হয়। নেমন্ত্রন পত্রে এখনো "বাসর" কথাটাই ব্যবহৃত হয়। মাস একই নামেই আছে।
যুগের নিয়মে এই "বঙ্গাব্দ" আপামর বাঙ্গালীর ক্যালেন্ডারে রুপান্তরিত হয়। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের অরাযোগ স্বেচ্ছাচারী শাষক এরশাদ হিন্দু বিদ্বেষ জনিত কারনেই ভারতীয় বাঙ্গালী ক্যালেন্ডার বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা ছাড়াই ১৯৮৭ সালে বাংলা ক্যালেন্ডার কে পরিবর্তন করেন। প্রসঙ্গে মনে রাখা প্রয়জোন তিনি কিন্তু হিজরি সাল কে পরিবর্তন করেননি। তাই পরিবর্তনের লিপইয়ার যুক্তি খাটে না। কেননা এই ২৮ বছরে সেই একদিন আগেই বাংলাদেশে নতুন বছর হয়। তাদের যুক্তি মানতে গেলে ৭ টা লিপ ইয়ারে তারা এ বছর ৮ আগেই বছর পালন করতো।
হিন্দু ক্যালেন্ডার বহু দিন ধরেই ১৫ই এপ্রিলেই বছর শুরু হয়, কয়েকটি বছর পর হের ফের হয়, তাই ইংরেজির মতো লিপ ইয়ার না থাকলেও সঠিক গনণা আছে বলেই আজও এভাবেই চলছে। বাংলাদেশের ৯০% মানুষ মুসলিম হওয়াতে তারা "হিজরি" সাল অনুসারে ধর্মীয় রীতি পালন করে, তাই প্রবলেম বুঝতে পারে না। কিন্ত হিন্দুরা প্রবলেম ফেস করে। আগামীকাল চৈত্রসংক্রান্তি হিন্দুরা উপোষ করে, নিরামিষ খায়। কিন্ত বাংলাদেশে নতুন বছর। পরশু দিন পয়লাবৈশাখ ওই দিন হালখাতা উৎসব কিন্তু বাংলাদেশে ২ তারিখ। আশাকরি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ "এরশাব্দ" থেকে প্রকৃত বাঙ্গাব্দ এ আবার ফিরবে।
যুগের নিয়মে এই "বঙ্গাব্দ" আপামর বাঙ্গালীর ক্যালেন্ডারে রুপান্তরিত হয়। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের অরাযোগ স্বেচ্ছাচারী শাষক এরশাদ হিন্দু বিদ্বেষ জনিত কারনেই ভারতীয় বাঙ্গালী ক্যালেন্ডার বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা ছাড়াই ১৯৮৭ সালে বাংলা ক্যালেন্ডার কে পরিবর্তন করেন। প্রসঙ্গে মনে রাখা প্রয়জোন তিনি কিন্তু হিজরি সাল কে পরিবর্তন করেননি। তাই পরিবর্তনের লিপইয়ার যুক্তি খাটে না। কেননা এই ২৮ বছরে সেই একদিন আগেই বাংলাদেশে নতুন বছর হয়। তাদের যুক্তি মানতে গেলে ৭ টা লিপ ইয়ারে তারা এ বছর ৮ আগেই বছর পালন করতো।
হিন্দু ক্যালেন্ডার বহু দিন ধরেই ১৫ই এপ্রিলেই বছর শুরু হয়, কয়েকটি বছর পর হের ফের হয়, তাই ইংরেজির মতো লিপ ইয়ার না থাকলেও সঠিক গনণা আছে বলেই আজও এভাবেই চলছে। বাংলাদেশের ৯০% মানুষ মুসলিম হওয়াতে তারা "হিজরি" সাল অনুসারে ধর্মীয় রীতি পালন করে, তাই প্রবলেম বুঝতে পারে না। কিন্ত হিন্দুরা প্রবলেম ফেস করে। আগামীকাল চৈত্রসংক্রান্তি হিন্দুরা উপোষ করে, নিরামিষ খায়। কিন্ত বাংলাদেশে নতুন বছর। পরশু দিন পয়লাবৈশাখ ওই দিন হালখাতা উৎসব কিন্তু বাংলাদেশে ২ তারিখ। আশাকরি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ "এরশাব্দ" থেকে প্রকৃত বাঙ্গাব্দ এ আবার ফিরবে।
No comments
Post a Comment