ফেসবুক হেরে গেল। জিতে গেল সাধারণ মানুষের লড়াই।
ফ্রী বেসিক ফ্রী বেসিক করে গত দুতিন মাস ধরে ফেসবুক আমাদের মাথা খেয়ে নিয়েছিল। বেশির ভাগ অগা পাবলিক ফ্রী বেসিক আসলে কি সেটা না জেনেই আমিও সাপোর্ট করছি এই দেখ কি মহান দেশ সেবা করছি ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তাদের সকলের মুখে ছাই দিয়ে গত সোমবার (8th February, 2016) TRAI সারা দেশে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে তারা Net Neutrality-র সপক্ষে এবং এই ধরণের ফ্রী বেসিক জাতীয় প্রকল্পের ঘোরতর বিরোধী।
আসুন সংক্ষেপে আর একবার বুঝিয়ে দিই ফ্রী বেসিক কি ?
ফ্রী বেসিক হল ফেসবুকের এক নতুন স্যোশাল নেটওয়ার্ক সাইট, যেটা মোবাইলের মাধ্যমে বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। ফেসবুক ঘোষণা করেছে এই সাইটের ফলে দেশের গরীব মানুষ পয়সা না দিয়েই একে অপরের সাথে কানেক্ট হতে পারবে। এবং শিক্ষা স্বাস্থ্য চাকরী ইত্যাদি পরিষেবা পাবে। খেয়াল রাখবেন ফেসবুক বা ফ্রী বেসিক কিন্তু আপনাকে শিক্ষা বা চাকরী দেবে না। ফ্রী বেসিক আপনাকে একটা প্লাটফর্ম দেবে যেখানে রাম শ্যাম যদু মধুরা এক জায়গায় আসতে পারবে। মোদ্দা কথা ফেসবুকের ছোট ভাই, কিন্তু ফেসবুক করতে গেলে পয়সা লাগে এবং ফেসবুকে যেহেতু বিজ্ঞাপন নেওয়া হয় তাই ফ্রী বেসিক নাম নিয়ে আর একটা নতুন ফেসবুককেই লঞ্চ করার চেষ্টা।
তাতে খারাপটা কি?
ফ্রীতে নিজের মোবাইলে ইন্টারনেট (ইন্টারনেট বলতে সমগ্র ইন্টারনেট বুঝবেন না, শুধু ফ্রী বেসিক, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি) পায় তাহলে ক’জন শিক্ষা স্বাস্থ্য চাকরী এসব দেখবে ? বেশির ভাগ ছেলে ছোকরারা তো জোকস, চুটকি, প্রেমের ধোকা খাওয়া প্যাঁনপ্যাঁনে শায়েরী এবং অশ্লীল ভিডিও দেখবে। নিজের বান্ধবীর এমএমএস তুলে ফ্রী বেসিকে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া তারা আর কিই বা করবে ?
কিছু খারাপ লোকের জন্যে ভালো মানুষেরা কেন এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকবে?
ভালো প্রশ্ন। তাহলে এবার টেকনিকাল দিকে আসি। ফ্রী বেসিক যেহেতু ফ্রী তাই বেশীর ভাগ মানুষ ইন্টারনেট বলতে ফ্রী বেসিককেই বুঝবে। জিমেইল, উইকিপিডিয়া, ইউটিউব, ইয়াহু ইত্যাদি সাইট ব্যবহার করা কমিয়ে দেবে। বিভিন্ন প্রাইভেট বা ই-কমার্স সাইট গুলি যেমন ফ্লিপকার্ট স্নাপডিল ইত্যাদি ফ্রী বেসিকের সাথে নিজেকে রেজিস্টার করবে এবং কান ঘুরে নাক ধরার মত করে এই সাইট গুলি নিজেদের ফ্রী করে দেবে। ফলত এইসব সাইটের স্পীড এবং ভিসিটরস বেড়ে যাবে। এই খানেই ধাক্কা খাবে নেট নিউট্রালিটি। অর্থাৎ যে লোকটা পয়সা দিয়ে ফ্লীপকার্ট দেখছে তার স্পীড কম হবে এবং যে লোকটা ফ্রী বেসিকের মাধ্যমে ফ্লীপকার্ট দেখছে সে একটাকা খরচ না করেও বেশি স্পীডে পরিষেবা পাবে।
প্রশ্ন হতে পারে তাহলে পয়সা দিতে যাবে কেন?
পয়সা দিতে যাবে কারণ সারা পৃথিবীতে প্রায় ১০০০ কোটি ওয়েবসাইট আছে কিন্তু ফ্রী বেসিকের মাধ্যমে আপনি খুব বেশী হলে ১০০ টা সাইট ফ্রী দেখতে পাবেন। যেগুলির মধ্যে বেশির ভাগ হল স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট, ই-কমার্স এবং টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারের নিজস্ব সাইট। বিনে পয়সায় নেট নিলে আপনি চেষ্টা করলেও উইকিপিডিয়া বা জিমেইল বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাইট ব্যবহার করতে পারবেন না। সেগুলি খুলবেই না।
যার ওসব সাইটের দরকার নেই তারা ফ্রী বেসিক ব্যবহার করবে। যাদের আরো সাইটের প্রয়োজন তারা পয়সা দিয়ে নেট ইউজ করবে।
ঠিক কথা। তাহলে ফেসবুকের আসল ফন্দীটা খোলসা করে বলি, ফ্রী বেসিক ফ্রী থাকবে তাই বেশির ভাগ মানুষ ফ্রী বেসিক রোজ রোজ বেশি বেশি করে খুলবে, তখন বড় বড় কোম্পানীগুলি নিজেদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্যে ফ্রী বেসিককেই আদর্শ জায়গা মনে করবে। ফ্রী বেসিক বলছে যে তারা বিজ্ঞাপন নেবে না, কিন্তু বিজ্ঞাপন না নিয়েও বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না কি !! সব বিজ্ঞাপন দেখে কি আমরা বুঝতে পারি কোনটা বিজ্ঞাপন আর কোনটা বিজ্ঞাপন নয়। এই যে প্রতি শনিবার একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকায় বিভিন্ন সিনেমার রিভিউ বার হয় বা সিনেমা রিলিজ হওয়ার আগেই তার কলাকুশলীদের নিয়ে একটা জমাটি আড্ডা হয়, আপনার কি মনে হয় সেগুলি সত্যি সত্যি আর্টিকেল বা নিবন্ধ ?? ওগুলো আসলে পয়সা দিয়ে কেনা হয়। নিজেদের পাবলিশিটি করা হয়। সুতরাং ফ্রী বেসিক চালু হলে দেশে যে কালো টাকাও খানিক বাড়বে সেটা নিশ্চয় আন্দাজ করতে পারছেন।
তাহলে ফ্রী-পরিষেবা কি ভালো নয় ?
যদি সেটা সত্যি সত্যি ভালো উদ্দ্যেশে হয়। কিন্তু ফেসবুকের উদ্দ্যেশ্য মোটেই ভালো নয়, তারা ফ্রী প্লাটফর্ম করতে চাইছে শুধু মাত্র কিছু নির্দিষ্ট সাইটের কথা মাথায় রেখে, যাদের থেকে সে মোটা কমিশন আদায় করবে। যারা ফেসবুককে কমিশন দেবে না, বা যে-সাইট থেকে কমিশন পাওয়া সম্ভব নয় সেগুলিকে তারা ফ্রী করবে না, বা ইচ্ছে করে বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে যৌথ প্রয়াসে সেই সমস্ত ছোট সাইটগুলিকে এত স্লো করে দেবে, যে সাধারণ মানুষ সেই সাইট ব্যবহার করা বন্ধ করে দেবে।
যদি ইন্টারনেটকে বাঁচিয়ে রাখতে হয় তাহলে নেট নিউট্রালিটি-ই আদর্শ। এটা শুধু আমাদের কথা নয়, স্বয়ং WWW-র আবিষ্কর্তা Tim Berners-Lee বলেছেন। ‘ফ্রী-ইন্টারনেট পরিষেবা কখনই সম্ভব নয়, যদি কেউ ফ্রী ইন্টারনেট দাবী করে জেনে রাখবেন সে সমগ্র ইন্টারনেট-কে বোঝাচ্ছে না’।
বড় বড় কোম্পানীরা (যেমন – OLX, FLIPKART, SNAPDEAL, TIMES ইত্যাদি) বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (যেমন – এয়ারটেল, ভোডাফোন, রিলায়েন্স ইত্যাদি) সাথে চুক্তি করবে এবং নিজেদের স্পীড বাড়িয়ে দিয়ে বেশি বেশি মানুষকে নিজেদের সাইটে প্রবেশ করাতে সক্ষম হবে এবং বিভিন্ন ছোট সাইট (যেমন বিভিন্ন ব্লগ, ছোটখাটো কোম্পানী, সাহিত্য) ইত্যাদি সাইটগুলির গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। কারণ এই সাইটগুলি বিনে পয়সার ইন্টারনেটে দেখা যাবে না এবং পয়সা দিয়ে দেখতে গেলেও এর স্পীড ইচ্ছে করে কমিয়ে রাখা হবে। ফলে ভালো ভালো কনটেন্ট নিয়েও নানা সাইট ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে এবং বাজারে টিকে থাকবে শুধু বড় বড় হাঙ্গরেরা। কিন্তু হাঙ্গরেরা জানে না, সাগরে ছোট মাছ আসা বন্ধ হলে তার কিছু দিন পর হাঙ্গরের মৃত্যুও অনিবার্য।
আসুন সংক্ষেপে আর একবার বুঝিয়ে দিই ফ্রী বেসিক কি ?
ফ্রী বেসিক হল ফেসবুকের এক নতুন স্যোশাল নেটওয়ার্ক সাইট, যেটা মোবাইলের মাধ্যমে বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। ফেসবুক ঘোষণা করেছে এই সাইটের ফলে দেশের গরীব মানুষ পয়সা না দিয়েই একে অপরের সাথে কানেক্ট হতে পারবে। এবং শিক্ষা স্বাস্থ্য চাকরী ইত্যাদি পরিষেবা পাবে। খেয়াল রাখবেন ফেসবুক বা ফ্রী বেসিক কিন্তু আপনাকে শিক্ষা বা চাকরী দেবে না। ফ্রী বেসিক আপনাকে একটা প্লাটফর্ম দেবে যেখানে রাম শ্যাম যদু মধুরা এক জায়গায় আসতে পারবে। মোদ্দা কথা ফেসবুকের ছোট ভাই, কিন্তু ফেসবুক করতে গেলে পয়সা লাগে এবং ফেসবুকে যেহেতু বিজ্ঞাপন নেওয়া হয় তাই ফ্রী বেসিক নাম নিয়ে আর একটা নতুন ফেসবুককেই লঞ্চ করার চেষ্টা।
তাতে খারাপটা কি?
ফ্রীতে নিজের মোবাইলে ইন্টারনেট (ইন্টারনেট বলতে সমগ্র ইন্টারনেট বুঝবেন না, শুধু ফ্রী বেসিক, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি) পায় তাহলে ক’জন শিক্ষা স্বাস্থ্য চাকরী এসব দেখবে ? বেশির ভাগ ছেলে ছোকরারা তো জোকস, চুটকি, প্রেমের ধোকা খাওয়া প্যাঁনপ্যাঁনে শায়েরী এবং অশ্লীল ভিডিও দেখবে। নিজের বান্ধবীর এমএমএস তুলে ফ্রী বেসিকে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া তারা আর কিই বা করবে ?
কিছু খারাপ লোকের জন্যে ভালো মানুষেরা কেন এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকবে?
ভালো প্রশ্ন। তাহলে এবার টেকনিকাল দিকে আসি। ফ্রী বেসিক যেহেতু ফ্রী তাই বেশীর ভাগ মানুষ ইন্টারনেট বলতে ফ্রী বেসিককেই বুঝবে। জিমেইল, উইকিপিডিয়া, ইউটিউব, ইয়াহু ইত্যাদি সাইট ব্যবহার করা কমিয়ে দেবে। বিভিন্ন প্রাইভেট বা ই-কমার্স সাইট গুলি যেমন ফ্লিপকার্ট স্নাপডিল ইত্যাদি ফ্রী বেসিকের সাথে নিজেকে রেজিস্টার করবে এবং কান ঘুরে নাক ধরার মত করে এই সাইট গুলি নিজেদের ফ্রী করে দেবে। ফলত এইসব সাইটের স্পীড এবং ভিসিটরস বেড়ে যাবে। এই খানেই ধাক্কা খাবে নেট নিউট্রালিটি। অর্থাৎ যে লোকটা পয়সা দিয়ে ফ্লীপকার্ট দেখছে তার স্পীড কম হবে এবং যে লোকটা ফ্রী বেসিকের মাধ্যমে ফ্লীপকার্ট দেখছে সে একটাকা খরচ না করেও বেশি স্পীডে পরিষেবা পাবে।
প্রশ্ন হতে পারে তাহলে পয়সা দিতে যাবে কেন?
পয়সা দিতে যাবে কারণ সারা পৃথিবীতে প্রায় ১০০০ কোটি ওয়েবসাইট আছে কিন্তু ফ্রী বেসিকের মাধ্যমে আপনি খুব বেশী হলে ১০০ টা সাইট ফ্রী দেখতে পাবেন। যেগুলির মধ্যে বেশির ভাগ হল স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট, ই-কমার্স এবং টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারের নিজস্ব সাইট। বিনে পয়সায় নেট নিলে আপনি চেষ্টা করলেও উইকিপিডিয়া বা জিমেইল বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাইট ব্যবহার করতে পারবেন না। সেগুলি খুলবেই না।
যার ওসব সাইটের দরকার নেই তারা ফ্রী বেসিক ব্যবহার করবে। যাদের আরো সাইটের প্রয়োজন তারা পয়সা দিয়ে নেট ইউজ করবে।
ঠিক কথা। তাহলে ফেসবুকের আসল ফন্দীটা খোলসা করে বলি, ফ্রী বেসিক ফ্রী থাকবে তাই বেশির ভাগ মানুষ ফ্রী বেসিক রোজ রোজ বেশি বেশি করে খুলবে, তখন বড় বড় কোম্পানীগুলি নিজেদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্যে ফ্রী বেসিককেই আদর্শ জায়গা মনে করবে। ফ্রী বেসিক বলছে যে তারা বিজ্ঞাপন নেবে না, কিন্তু বিজ্ঞাপন না নিয়েও বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না কি !! সব বিজ্ঞাপন দেখে কি আমরা বুঝতে পারি কোনটা বিজ্ঞাপন আর কোনটা বিজ্ঞাপন নয়। এই যে প্রতি শনিবার একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকায় বিভিন্ন সিনেমার রিভিউ বার হয় বা সিনেমা রিলিজ হওয়ার আগেই তার কলাকুশলীদের নিয়ে একটা জমাটি আড্ডা হয়, আপনার কি মনে হয় সেগুলি সত্যি সত্যি আর্টিকেল বা নিবন্ধ ?? ওগুলো আসলে পয়সা দিয়ে কেনা হয়। নিজেদের পাবলিশিটি করা হয়। সুতরাং ফ্রী বেসিক চালু হলে দেশে যে কালো টাকাও খানিক বাড়বে সেটা নিশ্চয় আন্দাজ করতে পারছেন।
তাহলে ফ্রী-পরিষেবা কি ভালো নয় ?
যদি সেটা সত্যি সত্যি ভালো উদ্দ্যেশে হয়। কিন্তু ফেসবুকের উদ্দ্যেশ্য মোটেই ভালো নয়, তারা ফ্রী প্লাটফর্ম করতে চাইছে শুধু মাত্র কিছু নির্দিষ্ট সাইটের কথা মাথায় রেখে, যাদের থেকে সে মোটা কমিশন আদায় করবে। যারা ফেসবুককে কমিশন দেবে না, বা যে-সাইট থেকে কমিশন পাওয়া সম্ভব নয় সেগুলিকে তারা ফ্রী করবে না, বা ইচ্ছে করে বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে যৌথ প্রয়াসে সেই সমস্ত ছোট সাইটগুলিকে এত স্লো করে দেবে, যে সাধারণ মানুষ সেই সাইট ব্যবহার করা বন্ধ করে দেবে।
যদি ইন্টারনেটকে বাঁচিয়ে রাখতে হয় তাহলে নেট নিউট্রালিটি-ই আদর্শ। এটা শুধু আমাদের কথা নয়, স্বয়ং WWW-র আবিষ্কর্তা Tim Berners-Lee বলেছেন। ‘ফ্রী-ইন্টারনেট পরিষেবা কখনই সম্ভব নয়, যদি কেউ ফ্রী ইন্টারনেট দাবী করে জেনে রাখবেন সে সমগ্র ইন্টারনেট-কে বোঝাচ্ছে না’।
বড় বড় কোম্পানীরা (যেমন – OLX, FLIPKART, SNAPDEAL, TIMES ইত্যাদি) বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (যেমন – এয়ারটেল, ভোডাফোন, রিলায়েন্স ইত্যাদি) সাথে চুক্তি করবে এবং নিজেদের স্পীড বাড়িয়ে দিয়ে বেশি বেশি মানুষকে নিজেদের সাইটে প্রবেশ করাতে সক্ষম হবে এবং বিভিন্ন ছোট সাইট (যেমন বিভিন্ন ব্লগ, ছোটখাটো কোম্পানী, সাহিত্য) ইত্যাদি সাইটগুলির গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। কারণ এই সাইটগুলি বিনে পয়সার ইন্টারনেটে দেখা যাবে না এবং পয়সা দিয়ে দেখতে গেলেও এর স্পীড ইচ্ছে করে কমিয়ে রাখা হবে। ফলে ভালো ভালো কনটেন্ট নিয়েও নানা সাইট ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে এবং বাজারে টিকে থাকবে শুধু বড় বড় হাঙ্গরেরা। কিন্তু হাঙ্গরেরা জানে না, সাগরে ছোট মাছ আসা বন্ধ হলে তার কিছু দিন পর হাঙ্গরের মৃত্যুও অনিবার্য।
No comments
Post a Comment