মেয়েদের সব লড়াইকেই কি পুরুষ-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাথে তুলনা করতে হবে??
সকাল থেকেই হেব্বী উত্তেজিত ছিলাম। প্রথমে আনন্দ বাজারে ‘নীরজা’ ছবির তারিফ এবং সারাদিন ধরে রেডিও মির্চি আর বিগ এফ এমে যেভাবে নীরজা খুব ভালো হয়েছে বলে প্রচার চলেছে তাতে মনে হয়েছিল হয়ত ভালো কিছুই হবে। না, খারাপ কিছু হয়েছে সেটা বলছি না কিন্তু প্রত্যেকেই যেরকম বিগলিত হয়ে আহা মরি মরি ভাবখানা দেখাচ্ছে তার ছিঁটেফোটাও পেলুম না।
সাদা পাবলিক দারুণ গ্যাস খেয়েছে, সোনম কাপুর দারুণ অ্যাকটিং করেছে এটা এখন লোকজনের মুখেমুখে ফিরছে। এমনকি ইন্টারনেটে এক সাক্ষাৎকারে শুনলাম সোনম নিজেও বলছে এরপর তিনি কিছু হার্ডকোর কমার্শিয়াল সিনেমা করবেন নাহলে নাকি সকলে মনে করবে যে তিনি শুধু ‘আচ্ছি’ সিনেমাই করেন। ওহে সোনম, জাগুন। এটা কোনো ভাবেই আপনার সেরা অভিনয় নয়। সিনেমার বিষয় বস্তু ভালো ছিল মানে এটা নয় যে সিনেমাটাও ভালো ছিল বা সকলের অভিনয় চমৎকার ছিল।
সাদা পাবলিক দারুণ গ্যাস খেয়েছে, সোনম কাপুর দারুণ অ্যাকটিং করেছে এটা এখন লোকজনের মুখেমুখে ফিরছে। এমনকি ইন্টারনেটে এক সাক্ষাৎকারে শুনলাম সোনম নিজেও বলছে এরপর তিনি কিছু হার্ডকোর কমার্শিয়াল সিনেমা করবেন নাহলে নাকি সকলে মনে করবে যে তিনি শুধু ‘আচ্ছি’ সিনেমাই করেন। ওহে সোনম, জাগুন। এটা কোনো ভাবেই আপনার সেরা অভিনয় নয়। সিনেমার বিষয় বস্তু ভালো ছিল মানে এটা নয় যে সিনেমাটাও ভালো ছিল বা সকলের অভিনয় চমৎকার ছিল।
কিছু বছর আগে আপনি একটি সিনেমা করেছিলেন ‘ডলি কি ডোলি’, সেই সিনেমা বেশী লোকে দেখেনি বলে কি আপনি তাকে ভুলে যাবেন ?? আশেপাশে সত্যি কোনো বন্ধু থাকলে তাকে জিজ্ঞেস করুন, সেইটাই এখনও অবধি আপনার বেস্ট পারফর্মেন্স। এর খুব কাছাকাছি থাকবে ‘বেওকুফিয়া’। যারা বলছেন ‘নীরজা’ এখনও অবধি আপনার সেরা কাজ, তাদের কে বলুন আরো একবার ‘রাঞ্জনাহ’ দেখতে।
যাই হোক, সিনেমার প্রসঙ্গে আসি। নীরজা-র মা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন , সে থাকতেই পারে, কিন্তু পাতি যাত্রাপালার মত, নীরজা তার হাতের আংটি ভুলে চলে গেল এবার হয়ত তার ক্ষতি হতে পারে এই জিনিসগুলো কি বাদ দেওয়া গেলে ভালো হত না। শেষ দৃশ্যে নীরজার মা বলছে ‘নীরজার কুন্ডলীতে লেখা ছিল সে বংশের মর্যাদা রাখবে’। এসব কুন্ডলী ফুন্ডলী না আনলেই ভালো করতেন ডিরেক্টর সাহেব।
১৯৮৬ তে দাঁড়িয়ে একটা মেয়ে রাজেশ খান্না হেব্বি ফ্যান, এটা ভাবা একটু কষ্ট হচ্ছিল। মানে অমিতাভ, মিঠুন, গোবিন্দা নেহাত অনিল কাপুর বা সঞ্জয় দত্ত না হয়ে সেই সময়ের আধবুড়ো রাজেশ খান্না, যে নায়কের পাঠ ছেড়ে দিয়েছে এবং বাবা-কাকার চরিত্র করেই দিন যাপন করছে। হতে যে পারে না সে কথা বলছি না, আপনারা নিশ্চয় রিসার্চ ওয়ার্ক করেছেন। আবার এমনও হতে পারে ‘জিন্দেগী লম্বি নেহি বড়ি হোনি চাহিয়ে’ ডায়লগটা ফিট করার ফন্দি করেছেন। সে যাই হোক, ব্যাপারটা মন্দ হয় নি।
কিন্তু শেষটা এ কি করলেন ?? আররে, নীরজা মরে যাওয়ার পরেই সিনেমাটা শেষ হয়ে যাওয়া উচিত। ঐ পুরস্কার – ভাষণ – অস্থি বিসর্জন এসব তো ফ্লাসব্যাক করে আগে দেখিয়ে দেবেন। নীরজা মরে যাওয়ার পরে দর্শককে আরো ১৫ মিনিট বসিয়ে রাখার কি মানে ???
আর হ্যাঁ, মেয়েদের লড়াই মানেই সবসময় সেটা পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে কেন হবে সেটা আমায় কেউ বুঝিয়ে দেবে ?? মানে চক দে ইন্ডিয়াতে মেয়েদের দল অস্ট্রেলিয়াকে হারালো কিন্তু আমাকে মানতে হবে সেটা আসলে মেয়েরা পুরুষ শাসিত সমাজকে হারাল। মর্দানি ছবিতে রাণী মুখার্জীর লড়াই একজন কিডন্যাপারের বিরুদ্ধে নয়, গোটা পুরুষ সমাজের উপর। এখানেও নীরজা যেন আতঙ্কবাদীদের সাথে নয় নিজের নিষ্টুর প্রাক্তন স্বামীর সাথেই লড়াই করছে। যা কেলো, কই সানি দেওয়াল যখন পর্দায় পাকিস্তানে ঢুকে সেখানে উগ্রপন্থীদের মারে তখন কি তিনি নারী জাতির উপর প্রতিশোধ তোলে ?? মান পরিচালক মশাই কি আতঙ্কবাদীকে স্বামীর সাথে তুলনা করে একটা সাংঘাতিক রূপক তৈরী করলেন। হ্যাঁ, কিছু সস্তা মেলোড্রামা সত্যি সত্যি সৃষ্টি হয়েছিল অবশ্য। একটা মেয়ে যখন কোনো উগ্রপন্থীদের সাথে লড়ছে তখন তার লড়াইটা সেই উগ্রপন্থীর সাথেই থাক না, ফ্যামিলি ড্রামা না বানালেই কি চলছিল না ??
সিনেমা ?? খুব স্লো। নন্দনে ইভিনিং শো দেখছিলাম কিন্তু তাতেই চারিদিক থেকে যেভাবে হাই তোলার শব্দ পাচ্ছিলাম, খুব খারাপ লাগছিল। শেষ পনের মিনিট দেখানোর দরকার নেই। নীরজার মৃত্যুতেই সিনেমাটা শেষ হয়ে যাওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। ক্যামেরা ওয়ার্ক এমন কিছু নয়, অবশ্য প্রায় গোটা সিনেমাটাই একটা প্লেনের ভিতরে, ক্যামেরা কিভাবেই বা খুব বেশি নড়বে চড়বে। এডিটিং – খুব খুব স্লো। মনে রাখার মত একটাও কাট নেই। মিউজিক ঠিক ঠাক। ঐ যেটুকু দরকার আর কি !! সাবানা আজমী মোটেই খুব ভালো অভিনয় করে নি। বরং যে উগ্রপন্থী ছেলেটি (ছবিতে) একটু বেশী ছটফট করছিল সে কিছু কিছু জায়গায় মারাত্মক এক্সপ্রেশান দিয়েছে। আমি ১০-এ ৪ দেব। তবে শেষে সেই একই কথা বলতে হয়, আমার দেওয়াতে কার কি ছেঁড়া গেল।
বিঃদ্রঃ বিগত অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে অনেকে হয়ত বলবে, আপনি এত বড় বজ্জাত, মানুষের প্রাণ বাঁচাতে যে মেয়েটা নিজের প্রাণ বিসর্জন দিল, তার জীবন নিয়ে ছবিকে আপনি খারাপ বলছেন। তাদের উদ্দেশ্যে গোঁদা বাংলায় বলে রাখি – ভাইসব, আমি ব্যক্তিগত নীরজা ভনট-এর জীবন নিয়ে এখানে কিছু লিখিনি, এখানে যা কিছু ভালো মন্দ লেখা হয়েছে পুরোটাই ‘নীরজা’ সিনেমা নিয়ে।
যাই হোক, সিনেমার প্রসঙ্গে আসি। নীরজা-র মা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন , সে থাকতেই পারে, কিন্তু পাতি যাত্রাপালার মত, নীরজা তার হাতের আংটি ভুলে চলে গেল এবার হয়ত তার ক্ষতি হতে পারে এই জিনিসগুলো কি বাদ দেওয়া গেলে ভালো হত না। শেষ দৃশ্যে নীরজার মা বলছে ‘নীরজার কুন্ডলীতে লেখা ছিল সে বংশের মর্যাদা রাখবে’। এসব কুন্ডলী ফুন্ডলী না আনলেই ভালো করতেন ডিরেক্টর সাহেব।
১৯৮৬ তে দাঁড়িয়ে একটা মেয়ে রাজেশ খান্না হেব্বি ফ্যান, এটা ভাবা একটু কষ্ট হচ্ছিল। মানে অমিতাভ, মিঠুন, গোবিন্দা নেহাত অনিল কাপুর বা সঞ্জয় দত্ত না হয়ে সেই সময়ের আধবুড়ো রাজেশ খান্না, যে নায়কের পাঠ ছেড়ে দিয়েছে এবং বাবা-কাকার চরিত্র করেই দিন যাপন করছে। হতে যে পারে না সে কথা বলছি না, আপনারা নিশ্চয় রিসার্চ ওয়ার্ক করেছেন। আবার এমনও হতে পারে ‘জিন্দেগী লম্বি নেহি বড়ি হোনি চাহিয়ে’ ডায়লগটা ফিট করার ফন্দি করেছেন। সে যাই হোক, ব্যাপারটা মন্দ হয় নি।
কিন্তু শেষটা এ কি করলেন ?? আররে, নীরজা মরে যাওয়ার পরেই সিনেমাটা শেষ হয়ে যাওয়া উচিত। ঐ পুরস্কার – ভাষণ – অস্থি বিসর্জন এসব তো ফ্লাসব্যাক করে আগে দেখিয়ে দেবেন। নীরজা মরে যাওয়ার পরে দর্শককে আরো ১৫ মিনিট বসিয়ে রাখার কি মানে ???
আর হ্যাঁ, মেয়েদের লড়াই মানেই সবসময় সেটা পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে কেন হবে সেটা আমায় কেউ বুঝিয়ে দেবে ?? মানে চক দে ইন্ডিয়াতে মেয়েদের দল অস্ট্রেলিয়াকে হারালো কিন্তু আমাকে মানতে হবে সেটা আসলে মেয়েরা পুরুষ শাসিত সমাজকে হারাল। মর্দানি ছবিতে রাণী মুখার্জীর লড়াই একজন কিডন্যাপারের বিরুদ্ধে নয়, গোটা পুরুষ সমাজের উপর। এখানেও নীরজা যেন আতঙ্কবাদীদের সাথে নয় নিজের নিষ্টুর প্রাক্তন স্বামীর সাথেই লড়াই করছে। যা কেলো, কই সানি দেওয়াল যখন পর্দায় পাকিস্তানে ঢুকে সেখানে উগ্রপন্থীদের মারে তখন কি তিনি নারী জাতির উপর প্রতিশোধ তোলে ?? মান পরিচালক মশাই কি আতঙ্কবাদীকে স্বামীর সাথে তুলনা করে একটা সাংঘাতিক রূপক তৈরী করলেন। হ্যাঁ, কিছু সস্তা মেলোড্রামা সত্যি সত্যি সৃষ্টি হয়েছিল অবশ্য। একটা মেয়ে যখন কোনো উগ্রপন্থীদের সাথে লড়ছে তখন তার লড়াইটা সেই উগ্রপন্থীর সাথেই থাক না, ফ্যামিলি ড্রামা না বানালেই কি চলছিল না ??
সিনেমা ?? খুব স্লো। নন্দনে ইভিনিং শো দেখছিলাম কিন্তু তাতেই চারিদিক থেকে যেভাবে হাই তোলার শব্দ পাচ্ছিলাম, খুব খারাপ লাগছিল। শেষ পনের মিনিট দেখানোর দরকার নেই। নীরজার মৃত্যুতেই সিনেমাটা শেষ হয়ে যাওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। ক্যামেরা ওয়ার্ক এমন কিছু নয়, অবশ্য প্রায় গোটা সিনেমাটাই একটা প্লেনের ভিতরে, ক্যামেরা কিভাবেই বা খুব বেশি নড়বে চড়বে। এডিটিং – খুব খুব স্লো। মনে রাখার মত একটাও কাট নেই। মিউজিক ঠিক ঠাক। ঐ যেটুকু দরকার আর কি !! সাবানা আজমী মোটেই খুব ভালো অভিনয় করে নি। বরং যে উগ্রপন্থী ছেলেটি (ছবিতে) একটু বেশী ছটফট করছিল সে কিছু কিছু জায়গায় মারাত্মক এক্সপ্রেশান দিয়েছে। আমি ১০-এ ৪ দেব। তবে শেষে সেই একই কথা বলতে হয়, আমার দেওয়াতে কার কি ছেঁড়া গেল।
বিঃদ্রঃ বিগত অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে অনেকে হয়ত বলবে, আপনি এত বড় বজ্জাত, মানুষের প্রাণ বাঁচাতে যে মেয়েটা নিজের প্রাণ বিসর্জন দিল, তার জীবন নিয়ে ছবিকে আপনি খারাপ বলছেন। তাদের উদ্দেশ্যে গোঁদা বাংলায় বলে রাখি – ভাইসব, আমি ব্যক্তিগত নীরজা ভনট-এর জীবন নিয়ে এখানে কিছু লিখিনি, এখানে যা কিছু ভালো মন্দ লেখা হয়েছে পুরোটাই ‘নীরজা’ সিনেমা নিয়ে।
No comments
Post a Comment