ঘুরে এলাম সাধারণ গরীব মানুষের দরবার থেকে, নোট বদলে তাদের কি মত ?
আজ বহু মানুষের সাথে কথা হল, বিষয়বস্তু সেই নোট বদল। সকলেই নিম্ন এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত। গত তিন চার দিন ঘরে টিভিতে দেখে মনে হচ্ছিল গরীব সাধারণ মানূষ হেব্বী ক্ষেপে গেছে। কিন্তু আজ যখন মুখোমুখি সকলের সাথে কথা বললাম, সকলেই দেখলাম নোট বদলের প্রয়োগকে সমর্থন করেছে। কিছু মানুষ অবশ্য পদ্ধতি নিয়ে একটু সমালোচনা করছেন কিন্তু বেশীরভাগের গলায় একই সুর। 'খুব ভালো পদক্ষেপ'।
সঠিক নাম তারিখ মনে পড়ছে না, তবে কিছু মাস আগে হাওড়ার এক সাধারণ মিউনিসিপাল কর্মীর বাড়ির দেওয়াল থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা আশা করি কেউ ভুলে যায় নি। এইরকম দেওয়াল সারা ভারতে কিছু কম নেই। সেগুলি আজ মূল্যহীন। কিন্তু ভারত হল ঘুষখোর, বিশ্বাসঘাতক এবং বেইমানির আখড়া। ঘুষের টাকার ভাত খেয়ে বড় হওয়া ভারতীয়রা তাই ঘুষ খেতে খুব ওস্তাদ। যাদের উপর এই টাকা সংগ্রহের ভার, সেই সব ইনকাম ট্যাক্সের হানাদারেরা নিজেরাই কিছু পার্শেন্ট ঘুষ খেয়ে এইসব কালো টাকা কারবারীদের ছাড় দিয়ে দিত। টাকা বাতিলের কারণে এই সব মিডিল ম্যানদের কমিশান খাওয়াটাও আজ বন্ধ হল।
এতদিন যারা প্রকৃতভাবে ট্যাক্স দিয়ে এসেছে তারা আজ সত্যি নিশ্চিন্ত কিন্তু যেসব ঘুষখোর পুলিশ, সরকারী কর্মচারীদের হাতে হিসেবের বাইরে পাঁচশোটাকাও আছে তারা আজ একটু চিন্তিত। যাদের কেলেঙ্কারীর পরিমাণ কম তারা হয়ত কিছু দালাল বা অসৎ ট্যাক্স কাউন্সিলিং করে পার পেয়ে গেলেও পেয়ে যেতে পারে, কিন্তু যাদের কালো টাকা দেওয়ালে গেঁথে রাখতে হয়েছিল তাদের দেওয়াল আজ মাথায় ভেঙ্গে পড়বে।
সঠিক নাম তারিখ মনে পড়ছে না, তবে কিছু মাস আগে হাওড়ার এক সাধারণ মিউনিসিপাল কর্মীর বাড়ির দেওয়াল থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা আশা করি কেউ ভুলে যায় নি। এইরকম দেওয়াল সারা ভারতে কিছু কম নেই। সেগুলি আজ মূল্যহীন। কিন্তু ভারত হল ঘুষখোর, বিশ্বাসঘাতক এবং বেইমানির আখড়া। ঘুষের টাকার ভাত খেয়ে বড় হওয়া ভারতীয়রা তাই ঘুষ খেতে খুব ওস্তাদ। যাদের উপর এই টাকা সংগ্রহের ভার, সেই সব ইনকাম ট্যাক্সের হানাদারেরা নিজেরাই কিছু পার্শেন্ট ঘুষ খেয়ে এইসব কালো টাকা কারবারীদের ছাড় দিয়ে দিত। টাকা বাতিলের কারণে এই সব মিডিল ম্যানদের কমিশান খাওয়াটাও আজ বন্ধ হল।
এতদিন যারা প্রকৃতভাবে ট্যাক্স দিয়ে এসেছে তারা আজ সত্যি নিশ্চিন্ত কিন্তু যেসব ঘুষখোর পুলিশ, সরকারী কর্মচারীদের হাতে হিসেবের বাইরে পাঁচশোটাকাও আছে তারা আজ একটু চিন্তিত। যাদের কেলেঙ্কারীর পরিমাণ কম তারা হয়ত কিছু দালাল বা অসৎ ট্যাক্স কাউন্সিলিং করে পার পেয়ে গেলেও পেয়ে যেতে পারে, কিন্তু যাদের কালো টাকা দেওয়ালে গেঁথে রাখতে হয়েছিল তাদের দেওয়াল আজ মাথায় ভেঙ্গে পড়বে।
তা যেটা বলছিলাম, আমি আজ যাদের সাথে কথা বলেছি তারা হল মুটে, ফুটপাতের ব্যাবসায়ী, রাস্তার পাশের চা-কচুরীর দোকানদার, রাস্তার পাশের চায়ের দোকানের খরিদ্দার, ঘুরে ঘুরে পান গুটখা বিক্রি করা ফেরিওয়ালা, বাসস্টপের লজেন্স ফেরিওয়ালা, কন্ডাকটার, টোটো ড্রাইভার, মিষ্টির দোকানের কর্মচারী ইত্যাদি। আজ আমার সাথে শুধু বাংলার লোকের নয়, প্রচুর এমন মানুষের সাথেও কথা হয়েছে যারা আজ ব্যাবসার কাজে বিহার, ঝাড়খন্ড, পাঞ্জাব, আসাম, উড়িষ্যা, ইউপি থেকে হাওড়া এসেছিল।
বিশ্বাস করুন, সকলে খুশী। আমি জানি না যে মোদী যে প্রকল্প নিয়েছে সেটা কতটা বাস্তবায়িত হতে পারবে। হয়ত কিছুই বদলাবে না। কিন্তু একটা জিনিস পরিস্কার হয়ে গেল যে মিডিয়া শুধুই পেইড নিউজ দেখাচ্ছে। প্রত্যেক মানুষ যারা এই অর্থব্যাবস্থার প্রতিদিনের ভুক্তোভুগী তারা সানন্দে আরো কিছু সপ্তাহ মুশকিল সহ্য করতে রাজী। কিন্তু মিডিয়া শুধুই দেখাচ্ছে যেন তারা আজ কত অসহায়। হ্যাঁ কিছু মানুষের অসুবিধে নিশ্চয় হচ্ছে। এতবড় একটা কারেন্সির পরিবর্তন আসবে আর কিছু মানুষের অসুবিধে হবে না এটা ভাবাই অন্যায়।
ক'দিন আগেও তো সারা ফেসবুক জুড়ে যুদ্ধ যুদ্ধ রব উঠেছিল, যুদ্ধ হলে কি হবে বা কি হয় সেটা নিশ্চয় তারা জানে না। যারা সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন তিন চার ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েই এত সহজে বিষ উগড়ে দিচ্ছে তারা তখন কি করত সেটাই ভাবছি। আশা করি তারা এবার আর যুদ্ধ চাই লিখে ফেসবুকে ঝড় তোলা বন্ধ করবে।
হ্যাঁ, কিছু মানুষ অখুশী। কিন্তু তাদের অখুশীর কারণ কিন্তু অর্থ বদলানোয় নয়, তারাও চায় নোট বদল হোক, তারাও মনে করছে কিছু সুরাহা হবে। তাদের অখুশীর কারণে তারা জানিয়েছে, ব্যাবস্থাটা আরো পাকাপোক্ত হলে ভালো হত। তবু সত্যি সাধারণ ভারতবাসীকে স্যালুট না জানিয়ে উপায় নেই, যে প্রতিদিন খবরের চ্যানেলে উস্কানি সত্ত্বেও তারা কেউ উত্তেজিত হয় নি, এবং শত অসুবিধে সত্ত্বেও হুড়োহুড়ি, দাঙ্গা হাঙ্গামা ইত্যাদি না করে শান্তিপূর্ণ ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলেছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা হাতে না পেয়ে সাময়িক চারটে খিস্তি দিয়ে আবার নতুন উদ্যমে লাইনে দাঁড়িয়েছে।
যেসব নিন্মবিত্ত পরিবারের জন্যে রাজনৈতিক নেতা এবং কিছু মিডিয়া কান্না জুড়েছে তারা নিজেরাই বলছে, আমাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন ঔষধ, ইলেক্ট্রিক বা টেলিফোন বিল, জ্বালানী ইত্যাদিতে সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। রইল শুধু খাদ্য সামগ্রী কেনার টাকা এবং যাতায়াতের ভাড়া। আপনি বলুন তো, চারহাজার অথবা সপ্তাহে কুড়ি হাজারে (এখন বাড়িয়ে পঁচিশ করেছে) কি খুব কম ???
বিরোধীরা সব ব্যাপারের চক্রান্ত দেখে, বিগত সরকারের নানান স্কামযুক্ত শব্দ যেমন টুজি স্কাম, কোলগেট স্কাম ইত্যাদি যেগুলি এখন ডিকশেনারিতে স্থান পেয়েছে সেগুলির টাকা বাঁচাতেই সকল রাজনৈতিক দল আজ মরিয়া। গরীবের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সততার মুখোশ। তাছাড়া কেউ কেউ যেভাবে চারিদিকে ফোন টোন করে একেবারে হুলুস্থুলু বাঁধিয়ে দিয়েছে কারণ তাদের জমানো সারদার টাকাগুলি যে আজ মাটির তলা থেকে বার করা যাচ্ছে না।
হ্যাঁ, অনেকের মত আমিও স্বীকার করি, বেশীর ভাগ কালো টাকাই আজ বিদেশে বা বেনামে ছড়ানো রয়েছে। কিন্তু সব নয়। বহু পরিমাণ টাকা আজ অনেকের কমোডে কমোডে সাইলেন্ট মোডে বিদ্যমান। সেগুলিকে ফ্লাশ করার সময় এসেছে।
হ্যাঁ, কিছু মানুষ অখুশী। কিন্তু তাদের অখুশীর কারণ কিন্তু অর্থ বদলানোয় নয়, তারাও চায় নোট বদল হোক, তারাও মনে করছে কিছু সুরাহা হবে। তাদের অখুশীর কারণে তারা জানিয়েছে, ব্যাবস্থাটা আরো পাকাপোক্ত হলে ভালো হত। তবু সত্যি সাধারণ ভারতবাসীকে স্যালুট না জানিয়ে উপায় নেই, যে প্রতিদিন খবরের চ্যানেলে উস্কানি সত্ত্বেও তারা কেউ উত্তেজিত হয় নি, এবং শত অসুবিধে সত্ত্বেও হুড়োহুড়ি, দাঙ্গা হাঙ্গামা ইত্যাদি না করে শান্তিপূর্ণ ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলেছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা হাতে না পেয়ে সাময়িক চারটে খিস্তি দিয়ে আবার নতুন উদ্যমে লাইনে দাঁড়িয়েছে।
যেসব নিন্মবিত্ত পরিবারের জন্যে রাজনৈতিক নেতা এবং কিছু মিডিয়া কান্না জুড়েছে তারা নিজেরাই বলছে, আমাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন ঔষধ, ইলেক্ট্রিক বা টেলিফোন বিল, জ্বালানী ইত্যাদিতে সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। রইল শুধু খাদ্য সামগ্রী কেনার টাকা এবং যাতায়াতের ভাড়া। আপনি বলুন তো, চারহাজার অথবা সপ্তাহে কুড়ি হাজারে (এখন বাড়িয়ে পঁচিশ করেছে) কি খুব কম ???
বিরোধীরা সব ব্যাপারের চক্রান্ত দেখে, বিগত সরকারের নানান স্কামযুক্ত শব্দ যেমন টুজি স্কাম, কোলগেট স্কাম ইত্যাদি যেগুলি এখন ডিকশেনারিতে স্থান পেয়েছে সেগুলির টাকা বাঁচাতেই সকল রাজনৈতিক দল আজ মরিয়া। গরীবের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সততার মুখোশ। তাছাড়া কেউ কেউ যেভাবে চারিদিকে ফোন টোন করে একেবারে হুলুস্থুলু বাঁধিয়ে দিয়েছে কারণ তাদের জমানো সারদার টাকাগুলি যে আজ মাটির তলা থেকে বার করা যাচ্ছে না।
হ্যাঁ, অনেকের মত আমিও স্বীকার করি, বেশীর ভাগ কালো টাকাই আজ বিদেশে বা বেনামে ছড়ানো রয়েছে। কিন্তু সব নয়। বহু পরিমাণ টাকা আজ অনেকের কমোডে কমোডে সাইলেন্ট মোডে বিদ্যমান। সেগুলিকে ফ্লাশ করার সময় এসেছে।
No comments
Post a Comment