রামায়ণের লক্ষণ একজন সমকামী ছিলেন। তিনটে প্রমাণ।
লক্ষণ কি গে ছিল ?? হ্যাঁ দাদা, আমি রামায়ণের লক্ষণের কথাই বলছি। আপনারা হয়ত ভাবছেন এটা আবার কি রকম উৎকট মার্কা প্রশ্ন। কিন্তু কিছু কিছু লক্ষণ দেখে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে যে লক্ষণ গে ছিল। এবং তার প্রধান লক্ষ্য ছিল তার দাদা মর্যাদা পুরুষোত্তম রাম। কি বললেন !! ফালতু বলছি ?? আসুন তাহলে পুরোটা বুঝিয়েই বলি, সবটা পড়ে আপনিই বিচার করুন লক্ষণ গে ছিল কি ছিল না ?
কোনোদিনও সীতার মুখ দর্শন না করা – লোকমুখে শুনেছি যে রামায়ণের প্রায় সবকটি ভার্সনেই বলা আছে যে লক্ষণ কখনই সীতার মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলত না। সর্বদা সীতার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে চেয়েই আলাপচারিতা করত। এ কেমন কথা বস !! সীতা দিব্যরূপা, দেশ বিদেশের রাজা গজারা তাকে পাওয়ার স্বপ্ন দেখে, তাকে বিয়ে করতে হ্যাংলার মত ছুটে যায় আর তুমি তার এমন আদরের ঠাকুরপো হয়েও কিচ্ছু করতে পারলে না !!! তুমি কি ইউটিউব দেখনা !! সোনাক্সি সিনহার পি এ অবধি তার পায়ের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না। বিশ্ব সুন্দরী বউদি পেয়েও তুমি তার চোখের দিকে তাকালে না, লোকে তো সবিতা ভাবি পেলেই হামলে পড়ে। যাই হোক, লক্ষণের এই কান্ডজ্ঞান দেখে সহজেই অনুমেয় যে নারী জাতির প্রতি তার কোনো আসক্তি ছিল না। আপনি হয়ত পালটা যুক্তি দেবেন যে লক্ষণ সীতাকে মা রূপে শ্রদ্ধা করত। যদি সত্যি সত্যি মাতৃরূপে বন্দনা করত, তাহলে তো আরোই সঙ্কোচ থাকার কথা নয়। আপনিও কি আপনার মায়ের পায়ের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন ??
বিয়ের করেই জঙ্গলে পলায়ণ – এটা তো জাস্ট নেওয়া যায় না। রাজ পরিবারের ছেলে তাই নিজেকে গে পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে। সে সময়েও তো ৩৭৭ ছিল নাকি !! যাই হোক, মুখ বাঁচাতে একটা নাম কা ওয়াস্তে বিয়ে তো করল কিন্তু বউয়ের থেকে পালাত পারলেই যেন সে বাঁচে। বড়দার সাথে একসাথে জঙ্গলে যাওয়া ওসব ভাইয়ের প্রতি প্রীতি ট্রিতি ফালতু কথা। বউয়ের সামনে নিজের মুখ পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতেই চোদ্দ বছরের জন্য বনবাস যাত্রা। নইলে ভাবুন, নতুন বিয়ে হওয়া বউকে আরো দুই ভাইয়ের জিম্মায় ফেলে কেউ পগারপার হতে পারে। সবাই তো আর লক্ষণ নয়। আচ্ছা ঠিকাছে আপনার কথাই মানলাম, ভাইয়ের প্রতি দায়িত্বটাই আসল, কিন্তু তোমার ভাই তো সঙ্গে করে নিজের বউকে নিয়ে যাচ্ছে, তোমার নিয়ে যেতে এত ফাটছে কেন ? উর্মিলাকে সাথে না নিয়ে যাওয়ার আপত্তিটা কি ?? যখন সে নিজেও যেতে চাইছিল।
সুর্পনখা – জঙ্গলে আছ, দাদা রাম সকাল সন্ধ্যে তোমার সামনেই বউ নিয়ে দরজায় খিল দিচ্ছে। তোমার মন কি একটুকুর জন্যেও উতলা হচ্ছে না ? তুমি তো আর যোগী সন্যাসী নও। বিয়েও করেছিলে যখন তখন ধরে নেওয়া যেতে পারে, যে তুমিও পার, অ্যাটলিস্ট না পারলেও ইচ্ছে হয়। তাহলে বছরের পর বছর জঙ্গলে নিরামিষ থাকতে থাকতে তোমার মনে কি একবারও সুড়সুড়ি ওঠে নি ?? সেসময় তো স্মার্টফোনও ছিল না, পর্ণোগ্রাফির বদলে যেদিকে তাকাচ্ছো শুধুই পর্ণোমচী। সেই সময় সুন্দরী রূপে সুর্পনখা তোমার সঙ্গ চাইল আর তুমি তাকে না বলে দিলে !! তুমি কি পাষাণ ?? না কি সিমেন্ট গোঁজা ?? যাই হোক, জানি তুমি গে, মেয়ে দেখলে তোমার কিছুই হয় না তাই বলে তুমি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে তার নাক কেটে দেবে ?? তাহলে আসল রাগ কি তোমার দাদার প্রতি যে তোমার দিকে একবারও না তাকিয়ে, লক্ষণ যাও কাঠ কেটে আনো বলে নিজে বউ নিয়ে দরজায় খিল দিচ্ছে। তুমি যদি গে না হতে তাহলে সুর্পনখাকে নিয়ে একটু ফস্টিনষ্টি তো করতেই। তাহলে এখন হয়ত আমার ফেসবুক পেজে সুর্পনখার ক্লিভেজ শেয়ার করতাম। মেয়েটা চিরকাল তার নাকের জন্যেই বিখ্যাত রয়ে গেল, তার বক্ষের দিকে কেউ লক্ষপাত করল না।
ইত্যাদি কারণ পর্যালোচনা করে আমাদের মনে হয়েছে লক্ষণ গে ছিল। কিন্তু আশ্চর্য্য উপায়ে এবং বাল্মিকীর সাথে ষড়যন্ত্র করে লক্ষণ তার আসল রূপ প্রকাশ পেতে দেয় নি। লক্ষণের বোঝা উচিত ছিল গে মোটেই খারাপ জিনিস নয়, রাজার ছেলে হয়ে সে যদি সে সময় গে-প্রথা প্রবর্তন করতে পারত তাহলে এই সময়ের সমকামীদের কিছু উপকার হত বা তাদের এখন যেরূপ হেনস্থা হতে হয় সেটা হতে হত না।
No comments
Post a Comment