জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে একজন ১৭ বছর ৬ মাস বয়সী রেপিস্টের সাক্ষাৎকার।
>> ছাড়া পেয়ে কেমন লাগছে?
--- ভালো লাগছে।
--- ভালো লাগছে।
>> ছাড়া পাবেন ভাবতে পেরেছিলেন?
--- আমাদের উকিল বলেছিল আঠারো বছর যেহেতু হয় নি তাই ফাঁসী বা যাবৎজীবন হবে না। খুব বেশী হলে হয়ত সাত বছর জেল হতে পারত।
>> যদি সাত বছর জেল হত তাহলে কেমন লাগত?
--- তিনবছর তো কাটালাম। বাকিটাও কেটে যেত।
>> এখন তো বয়স কমিয়ে ১৬ বছর করে দেওয়া হল। আপনার প্রতিক্রিয়া।
--- সমাধান কিছু হল বলে তো মনে হল না।
>> একথা বলছেন কেন ?
--- কাল যদি ১৫ বছর ৮ মাসের কোনো ছেলে রেপ করে তখন-ও তো তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তখন কি কমিয়ে ১৪ করবেন? এভাবে কমতে কমতে কোথায় যাবেন?
>> আপনি কি জানেন আপনার পরিচয় প্রকাশ পেলে ভারতের জনগণ আপনাকে খুন করে ফেলবে?
--- স্কুলে শিখেছিলাম ভারত নাকি অহিংস দেশ। গান্ধীকে নিয়ে খুব হইচই হয়। অথচ সংবিধান বা আইন মেনে যখন আমায় তিন বছর সাজা দিয়ে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তখন তাদের সেটায় হচ্ছে না। আমি তো আর দোষ করে হাসতে হাসতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি না। রীতিমত নিয়ম মেনে শাস্তি পেয়েছি।
>> নিজে অন্যের সাথে হিংসে করবেন আবার আশা করবেন অন্যেরা আপনার সাথে অহিংস থাকবে। এটা কি বাড়াবাড়ি নয়!!
--- দাদা এদেশে বিয়ের বয়স ২১। ভোটের বয়স ১৮ এবং রেপের বয়স ১৬। ১৮ বছরের সেই ছেলে কি করবে যার শারীরিক চাহিদা রয়েছে। তাকে তো বিয়েও করতে দিচ্ছেন না ২১ না হলে।
>> বিয়ে করতে পারছেন না বলে রেপ করবেন?
--- কে বলল, বিয়ে করতে পারছি না। আমার পাড়ার চুমকি (নাম পরিবর্তিত) আমাকে বিয়ে করতে রাজী আছে। কিন্তু তার বয়স এখন সবে ষোলো। তাই বিয়ে করতে পারছি না।
>> তার সাথে যৌন সম্পর্ক হয়েছে?
--- মাথা খারাপ!! পার্থদাকে চেনেন ? আমাদের পাড়ায় থাকত। সে আর রুনু একে অপরকে ভালোবাসত। শোয়াশুয়ি কিছুই বাকি রাখে নি। কিন্তু রুণুর বয়স আঠারো হয় নি। একদিন পুলিশ এসে পার্থদাকে তুলে নিয়ে গেল কারণ রুণুর বাবা থানায় কমপ্লেন করেছে যে পার্থদা নাকি রুণুকে জোর করে ভুল বুঝিয়ে ফুসলিয়ে ওসব করেছে কিন্তু আমরা জানি পার্থদা ভালো ছেলে। রুণুই জোর করত পার্থদাকে ডেকে ডেকে নিয়ে যেত। কিন্তু কে শোনে কার কথা? পার্থদার কি হল এখন কে জানে!!
>> সেই কারণে আপনি চুমকির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন নি?
--- হ্যাঁ।
>> বাসে রেপ করার সময় আপনার এই ভয় হয় নি?
--- না। মনে হয়েছিল। প্রথমেই তো রেপ করব ভাবি নি। একটু একটু করে ব্যাপারটা অনেক বড় হয়ে গেল। রেষারেষি টাইপ না হলে হয়ত কিছুই হত না। আমাদের সাথে মাতব্বরি করবে!! একটু শিক্ষা দিয়ে দিই। এই থেকেই ঘটনাটা ঘটে গেল।
>> আপনি ব্যাপারটা খুব হালকা করে দেখছেন। ঘটনাটা মোটেই এতটা সহজ নয়। আপনার কি মনে হয় না তিন বছর জেল খুবই লঘু সাজা?
--- দেখুন আমি যদি আপনার জায়গা থেকে দেখি তাহলে আমার-ও মনে হবে যে এই শাস্তি খুব কম। আরো বেশী শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু যেহেতু আমি নিজেই দোষী এবং একমাত্র আমিই আমাকে চিনি তাই আমি জানি যে শাস্তি আমার হয়েছে সেটা যথেষ্ট।
>> আপনি নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন?
--- মোটেই না। দেখুন আমার সম্পর্কে একটা ইমেজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে ইমেজ ছড়ানো হয়েছে সেটা সঠিক নাও হতে পারে। আমি গরীব। বস্তিতে থাকি। পড়াশোনা নেই। নেশা ভান করি। রেপ করেছি। আমার সম্পর্কে বাজে ধারণা হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি মোটেই ক্রিমিনাল নই। আমি নিজেও পরিস্থিতির স্বীকার। ওই বাসে শুধু ওই মেয়েটার সাথে অন্যায় হয় নি। আমাদের সাথেও হয়েছিল। শুধু মেয়েটার সাথে আমরা যারা অন্যায় করেছি তাদের দেখা যায়। কিন্তু আমার সাথে যারা অন্যায় করেছে সেটা দেখা যায় না।
>> আপনার সাথে কে অন্যায় করেছে?
--- দেখুন সিনেমার পর্দায় যখন নায়ক নায়িকাকে জোর করে চুমু খায় নায়িকা প্রথম প্রথম গুসসা করে কিন্তু দু-দিন পরে নায়িকা তার প্রেমে পড়ে যায়। রাণী মুখার্জী থেকে ক্যাটরিনা কাঈফ এরা প্রত্যেকেই নিজেরা ধনী হয়েও বহু সিনেমায় গরীব-বস্তির ছেলের সাথে প্রেমে পড়ে।
>> সেগুলো তো সিনেমা। বানানো গল্প।
--- দেখুন , এখন আমার বয়স ২২। আমি দুনিয়াটাকে এখন অনেক বেশী জানি। আমি জানি ওগুলো গল্প। কিন্তু সেই সময় সেটা বুঝতে পারিনি।
>> আপনি কি খুব সিনেমা দেখেন?
--- হ্যাঁ। আমি সিনেমার পোকা। একবার সিনেমায় দেখেছিলাম। করীনা কাপুর এক পাল ছেলের মাঝে নাচ করছে আর সব ছেলেরা করিনা কাপুরকে নানান জায়গায় হাত দিচ্ছে, চিমটি কাটছে আর করিনা কাপুর সেটাতে আনন্দ পাচ্ছে।
>> তাই দেখে আপনার-ও মনে হয়েছিল। বাসের মেয়েটি আপনাদের অত্যাচারে আনন্দ পাচ্ছে?
--- আমার মনে হয় আমাকে প্রকাশ্যে আনা উচিত। আমি নিজেও প্রকাশ্যে আসতে চাই। আমার কথাও লোকের শোনা উচিত। একজনের কান্না দেখে আমাদের সকলের মন তার দিকে গলে যাচ্ছে। মানুষের আমার কথাটাও শোনা উচিত। আমার মনে হয় আমার কথা শুনলে মানুষ আমাকে বুঝবে। তারা বুঝবে আমার প্রাপ্য সাজা সেটা মোটেই নগন্য নয়। আমারও মূল ধারায় ফেরা উচিত। আমি তো মূল ধারাতই ছিলাম। চোর ছিনতাই পকেটমার তো নই। ভারতের আরো ৭০ শতাংশ লোকের মত আমিও অশিক্ষিত, আমিও গরীব। এটাই কি আমার অপরাধ? আমার মদ খাওয়াটা কি অপরাধ? হ্যাঁ আমি দোষ করেছি, সেটা ক্ষণিকের মুহুর্তের ভুলে। আমি দোষী। আমি অনুতপ্ত। আপনারা বলুন, আমার কি মরে যাওয়া উচিত??
>> আপনি কি নিজেকে বাল্মিকী বা সম্রাট অশোক মনে করছেন?
--- না। কিন্তু আমি মনে করছি না বলেই তো আর ইতিহাস মিথ্যে হয়ে যাবে না। সলমান খানের সিনেমা রিলিজ করলে সেটা কোটি কোটি ব্যাবসা করে। ভারতীয় ক্রিকেট টীমের বড় বড় তারকা যারা একসময় ম্যাচ ফিক্সিং করে জেলে গেছিল তারা আজ নানা টিভি চ্যানেলে কমেন্ট্রি করে, প্রচুর টাকা ইনকাম করে। মাফিয়ার প্রেমিকা যে কিনা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের দায়ে শাস্তি পেয়েছিল সে রিয়েলিটি শোয়ে গিয়ে জিতে আসছে। বাড়ির কাজের মেয়েকে রেপ করে জেলে যাওয়া অভিনেতা আবার ওয়েলকাম টু করছে। আমাকেই আবার নতুন করে বাঁচতে দিতে আপনাদের এত আপত্তি??
>> আপনি যে আবার রেপ করবেন না বা আবার কোনো ক্রাইম করবেন না তার কি গ্যারান্টী আছে?
--- যে লোকটা আজ অবধি কোনো দোষ করেনি। সাধারণ ভারতীয়, আপনার মত মানুষেরাও যে কোনো ক্রাইম করবে না তার কি গ্যারান্টী আছে?
>> আপনার ক্ষেত্রে চান্সটা বেশী?
--- আমি মনে করি বরং উলটো। যেহেতু আমি ভুক্তোভুগী, যেহেতু আমি সাজাপ্রাপ্ত। যেহেতু আমি অন্ধকার দিকটা দেখেছি তাই আমার পক্ষে আবার ক্রাইম করার চান্স শূন্য কারণ আমি জন্মগত ভাবে ক্রিমিনাল নই। আমি একটি পরিস্থিতির স্বীকার। যেই পরিস্থিতিতে একটি মেয়ের ধর্ষণ এবং হত্যা হয়, কিছু জনের ফাঁসীর সাজা হয়, একজন জেলেই আত্মহত্যা করে এবং একজন আমি যাকে খুন হয়ে যাওয়ার ভয়ে নিয়ে বাকি জীবন কাটাতে হবে।
--- আমাদের উকিল বলেছিল আঠারো বছর যেহেতু হয় নি তাই ফাঁসী বা যাবৎজীবন হবে না। খুব বেশী হলে হয়ত সাত বছর জেল হতে পারত।
>> যদি সাত বছর জেল হত তাহলে কেমন লাগত?
--- তিনবছর তো কাটালাম। বাকিটাও কেটে যেত।
>> এখন তো বয়স কমিয়ে ১৬ বছর করে দেওয়া হল। আপনার প্রতিক্রিয়া।
--- সমাধান কিছু হল বলে তো মনে হল না।
>> একথা বলছেন কেন ?
--- কাল যদি ১৫ বছর ৮ মাসের কোনো ছেলে রেপ করে তখন-ও তো তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তখন কি কমিয়ে ১৪ করবেন? এভাবে কমতে কমতে কোথায় যাবেন?
>> আপনি কি জানেন আপনার পরিচয় প্রকাশ পেলে ভারতের জনগণ আপনাকে খুন করে ফেলবে?
--- স্কুলে শিখেছিলাম ভারত নাকি অহিংস দেশ। গান্ধীকে নিয়ে খুব হইচই হয়। অথচ সংবিধান বা আইন মেনে যখন আমায় তিন বছর সাজা দিয়ে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তখন তাদের সেটায় হচ্ছে না। আমি তো আর দোষ করে হাসতে হাসতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি না। রীতিমত নিয়ম মেনে শাস্তি পেয়েছি।
>> নিজে অন্যের সাথে হিংসে করবেন আবার আশা করবেন অন্যেরা আপনার সাথে অহিংস থাকবে। এটা কি বাড়াবাড়ি নয়!!
--- দাদা এদেশে বিয়ের বয়স ২১। ভোটের বয়স ১৮ এবং রেপের বয়স ১৬। ১৮ বছরের সেই ছেলে কি করবে যার শারীরিক চাহিদা রয়েছে। তাকে তো বিয়েও করতে দিচ্ছেন না ২১ না হলে।
>> বিয়ে করতে পারছেন না বলে রেপ করবেন?
--- কে বলল, বিয়ে করতে পারছি না। আমার পাড়ার চুমকি (নাম পরিবর্তিত) আমাকে বিয়ে করতে রাজী আছে। কিন্তু তার বয়স এখন সবে ষোলো। তাই বিয়ে করতে পারছি না।
>> তার সাথে যৌন সম্পর্ক হয়েছে?
--- মাথা খারাপ!! পার্থদাকে চেনেন ? আমাদের পাড়ায় থাকত। সে আর রুনু একে অপরকে ভালোবাসত। শোয়াশুয়ি কিছুই বাকি রাখে নি। কিন্তু রুণুর বয়স আঠারো হয় নি। একদিন পুলিশ এসে পার্থদাকে তুলে নিয়ে গেল কারণ রুণুর বাবা থানায় কমপ্লেন করেছে যে পার্থদা নাকি রুণুকে জোর করে ভুল বুঝিয়ে ফুসলিয়ে ওসব করেছে কিন্তু আমরা জানি পার্থদা ভালো ছেলে। রুণুই জোর করত পার্থদাকে ডেকে ডেকে নিয়ে যেত। কিন্তু কে শোনে কার কথা? পার্থদার কি হল এখন কে জানে!!
>> সেই কারণে আপনি চুমকির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন নি?
--- হ্যাঁ।
>> বাসে রেপ করার সময় আপনার এই ভয় হয় নি?
--- না। মনে হয়েছিল। প্রথমেই তো রেপ করব ভাবি নি। একটু একটু করে ব্যাপারটা অনেক বড় হয়ে গেল। রেষারেষি টাইপ না হলে হয়ত কিছুই হত না। আমাদের সাথে মাতব্বরি করবে!! একটু শিক্ষা দিয়ে দিই। এই থেকেই ঘটনাটা ঘটে গেল।
>> আপনি ব্যাপারটা খুব হালকা করে দেখছেন। ঘটনাটা মোটেই এতটা সহজ নয়। আপনার কি মনে হয় না তিন বছর জেল খুবই লঘু সাজা?
--- দেখুন আমি যদি আপনার জায়গা থেকে দেখি তাহলে আমার-ও মনে হবে যে এই শাস্তি খুব কম। আরো বেশী শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু যেহেতু আমি নিজেই দোষী এবং একমাত্র আমিই আমাকে চিনি তাই আমি জানি যে শাস্তি আমার হয়েছে সেটা যথেষ্ট।
>> আপনি নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন?
--- মোটেই না। দেখুন আমার সম্পর্কে একটা ইমেজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে ইমেজ ছড়ানো হয়েছে সেটা সঠিক নাও হতে পারে। আমি গরীব। বস্তিতে থাকি। পড়াশোনা নেই। নেশা ভান করি। রেপ করেছি। আমার সম্পর্কে বাজে ধারণা হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি মোটেই ক্রিমিনাল নই। আমি নিজেও পরিস্থিতির স্বীকার। ওই বাসে শুধু ওই মেয়েটার সাথে অন্যায় হয় নি। আমাদের সাথেও হয়েছিল। শুধু মেয়েটার সাথে আমরা যারা অন্যায় করেছি তাদের দেখা যায়। কিন্তু আমার সাথে যারা অন্যায় করেছে সেটা দেখা যায় না।
>> আপনার সাথে কে অন্যায় করেছে?
--- দেখুন সিনেমার পর্দায় যখন নায়ক নায়িকাকে জোর করে চুমু খায় নায়িকা প্রথম প্রথম গুসসা করে কিন্তু দু-দিন পরে নায়িকা তার প্রেমে পড়ে যায়। রাণী মুখার্জী থেকে ক্যাটরিনা কাঈফ এরা প্রত্যেকেই নিজেরা ধনী হয়েও বহু সিনেমায় গরীব-বস্তির ছেলের সাথে প্রেমে পড়ে।
>> সেগুলো তো সিনেমা। বানানো গল্প।
--- দেখুন , এখন আমার বয়স ২২। আমি দুনিয়াটাকে এখন অনেক বেশী জানি। আমি জানি ওগুলো গল্প। কিন্তু সেই সময় সেটা বুঝতে পারিনি।
>> আপনি কি খুব সিনেমা দেখেন?
--- হ্যাঁ। আমি সিনেমার পোকা। একবার সিনেমায় দেখেছিলাম। করীনা কাপুর এক পাল ছেলের মাঝে নাচ করছে আর সব ছেলেরা করিনা কাপুরকে নানান জায়গায় হাত দিচ্ছে, চিমটি কাটছে আর করিনা কাপুর সেটাতে আনন্দ পাচ্ছে।
>> তাই দেখে আপনার-ও মনে হয়েছিল। বাসের মেয়েটি আপনাদের অত্যাচারে আনন্দ পাচ্ছে?
--- আমার মনে হয় আমাকে প্রকাশ্যে আনা উচিত। আমি নিজেও প্রকাশ্যে আসতে চাই। আমার কথাও লোকের শোনা উচিত। একজনের কান্না দেখে আমাদের সকলের মন তার দিকে গলে যাচ্ছে। মানুষের আমার কথাটাও শোনা উচিত। আমার মনে হয় আমার কথা শুনলে মানুষ আমাকে বুঝবে। তারা বুঝবে আমার প্রাপ্য সাজা সেটা মোটেই নগন্য নয়। আমারও মূল ধারায় ফেরা উচিত। আমি তো মূল ধারাতই ছিলাম। চোর ছিনতাই পকেটমার তো নই। ভারতের আরো ৭০ শতাংশ লোকের মত আমিও অশিক্ষিত, আমিও গরীব। এটাই কি আমার অপরাধ? আমার মদ খাওয়াটা কি অপরাধ? হ্যাঁ আমি দোষ করেছি, সেটা ক্ষণিকের মুহুর্তের ভুলে। আমি দোষী। আমি অনুতপ্ত। আপনারা বলুন, আমার কি মরে যাওয়া উচিত??
>> আপনি কি নিজেকে বাল্মিকী বা সম্রাট অশোক মনে করছেন?
--- না। কিন্তু আমি মনে করছি না বলেই তো আর ইতিহাস মিথ্যে হয়ে যাবে না। সলমান খানের সিনেমা রিলিজ করলে সেটা কোটি কোটি ব্যাবসা করে। ভারতীয় ক্রিকেট টীমের বড় বড় তারকা যারা একসময় ম্যাচ ফিক্সিং করে জেলে গেছিল তারা আজ নানা টিভি চ্যানেলে কমেন্ট্রি করে, প্রচুর টাকা ইনকাম করে। মাফিয়ার প্রেমিকা যে কিনা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের দায়ে শাস্তি পেয়েছিল সে রিয়েলিটি শোয়ে গিয়ে জিতে আসছে। বাড়ির কাজের মেয়েকে রেপ করে জেলে যাওয়া অভিনেতা আবার ওয়েলকাম টু করছে। আমাকেই আবার নতুন করে বাঁচতে দিতে আপনাদের এত আপত্তি??
>> আপনি যে আবার রেপ করবেন না বা আবার কোনো ক্রাইম করবেন না তার কি গ্যারান্টী আছে?
--- যে লোকটা আজ অবধি কোনো দোষ করেনি। সাধারণ ভারতীয়, আপনার মত মানুষেরাও যে কোনো ক্রাইম করবে না তার কি গ্যারান্টী আছে?
>> আপনার ক্ষেত্রে চান্সটা বেশী?
--- আমি মনে করি বরং উলটো। যেহেতু আমি ভুক্তোভুগী, যেহেতু আমি সাজাপ্রাপ্ত। যেহেতু আমি অন্ধকার দিকটা দেখেছি তাই আমার পক্ষে আবার ক্রাইম করার চান্স শূন্য কারণ আমি জন্মগত ভাবে ক্রিমিনাল নই। আমি একটি পরিস্থিতির স্বীকার। যেই পরিস্থিতিতে একটি মেয়ের ধর্ষণ এবং হত্যা হয়, কিছু জনের ফাঁসীর সাজা হয়, একজন জেলেই আত্মহত্যা করে এবং একজন আমি যাকে খুন হয়ে যাওয়ার ভয়ে নিয়ে বাকি জীবন কাটাতে হবে।
** এটি একটি কাল্পনিক সাক্ষাৎকার। দয়া করে বাস্তবের কোনো ঘটনার সাথে একে গুলিয়ে ফেলবেন না।
No comments
Post a Comment